Projukti Kotha

আপনি কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করব বা আয় করার উপায় নিয়ে ভাবছেন তাহলে অনুসরণ করতে পারেন আমাদের এই মোবাইল অনলাইন আর্নিং গাইডলাইন ।

আমাদের এই পোস্টে আপনি মোবাইল দিয়ে কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করবেন তার সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । নিজ দায়িত্বে আমাদের এই উপায়গুলো আপনিও ট্রাই করতে পারেন আশা করি উপকৃত হবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জন করার উপায় কি কি ?

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় রয়েছে যদি আপনাদের হাতে একটি স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় সমূহ :

  • ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয়
  • ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে
  • ফটোগ্রাফ বা ভিডিও বিক্রি করে
  • ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়
  • ফেসবুকে ই-কমার্স বিসনেস করে
  • অনলাইনে টিউশন করে
  • মাইক্রোওয়ার্কস সাইটে কাজ করে
  • ইনভেস্টমেন্ট সাইট করে
  • ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে
  • ড্রাইভিং করে ইনকাম
  • বিভিন্ন ইনকাম করার অ্যাপস দিয়ে
  • ব্লগিং বা ব্লগিং বিভিন্ন সাইটে কাজ করে
  • মোবাইল দিয়ে ই-ব্যাংকিং সেবা দিয়ে অর্থাৎ বিকাশ থেকে ইনকাম করে

ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় :

ইনস্টাগ্রাম শুধু ভিডিও বা ছবি শেয়ারিং এর প্ল্যাটফর্ম নয় | ইনস্টাগ্রামের থেকে টাকা আয় করতে হলে শুরুতেই আপনার একটি প্রয়োজন পড়বে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগের । ইনস্টাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে একাধিক উপায় এর মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব । ইনস্টাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জন করার উপায় গুলো হল –

  • ইনস্টাগ্রামের টাকার বিনিময় অন্যের একাউন্ট প্রমোট করে
  • ইনস্টাগ্রামে স্পনসর্ড এড করে
  • ইনস্টাগ্রামে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • বায়ারের বা নিজের পণ্য বিক্রি করে

তবে ইনস্টাগ্রামে এ আয় করার জন্য প্রথমেই একটি উপযোগী সুন্দরভাবে প্রোফাইল তৈরি করতে এবং কিভাবে তৈরি করবেন তা নিচে উল্লেখ করা হয়েছে :

  • একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল বায়ো ডাটা তৈরি করুন ।
  • নিয়মিত নিদৃষ্ট টপিকের উপর পোস্ট করুন ।
  • পোস্ট এর গুণগত মান বজায় রাখুন ।
  • আপনার টপিক বা বিষয়ের সাথে মিল এমন অন্য প্রোফাইল ফলো করুন।
  • ফলোয়ার দের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখুন ।

বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে কনটেন্ট এর বিশাল চাহিদা রয়েছে আপনি যদি এই চাহিদা অনুযায়ী ভাল কনটেন্ট দিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অল্প দিনের মধ্যে আপনার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল অতি জনপ্রিয় ও সকলের কাছে সুপরিচিত হয়ে যাবে যার ফলে আপনি আয় করতে পারবেন ।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব এ ভিডিও তৈরি করে টাকা ইনকাম :

বর্তমানে আপনার হাতের স্মার্টফোনটি প্রযুক্তিতে শীর্ষে এবং যথেষ্ট শক্তিশালী । ভিডিও রেকর্ডিং থেকে শুরু করে ভিডিও এডিটিং করা এবং আপলোড করা পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় আপনি আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে করতে পারবেন। মোবাইলের সাহায্যে ভিডিও করে ইউটিউবে আপনার ভিডিও আপলোড করে আপনিও গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামের যুক্ত হয়ে অনেক টাকা আয় করতে পারেন এছাড়াও বেশি সম্ভব সাবস্ক্রাইবার হলে আপনার চ্যানেলে যে কোন কোম্পানির আপনাকে স্পনসর্ড ভিডিও করার জন্য উৎসাহিত করবে । ভাবছেন আপনি ইউটিউবে কোন বিষয়ে ভিডিও বানাবেন ? সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার উপর। বর্তমান সময় ইউটিউবে সকল ধরনের ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা রয়েছে। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ আপনার সেই বিষয়ের উপর আপনি আপনার ভিডিওটির বিষয় বা টপিক সিলেক্ট করতে পারেন এবং সেই বিষয়ে ভিডিও মোবাইলে তৈরি করে ইউটিউবে মোবাইল দ্বারা আপলোড দিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন । ইউটিউব চ্যানেলে এডসেন্স পাওয়া বা এডসেন্স যুক্ত হওয়া এই সম্পূর্ণ বিষয়টিকে প্রক্রিয়াটিকে বলেন মনিটাইজেশন।একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন পেতে গেলে আপনার প্রয়োজন হবে :

  1. বিগত ৩৬৫ দিনে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম ও
  2. ১০০০ সাবস্ক্রাইবার।

উপরে উল্লেখিত দুটি শর্ত পূরণ করলেই আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন।

ফটোগ্রাফি অর্থাৎ ছবি বা ভিডিও বিক্রি করে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন :

আপনার ফোনটির ক্যামেরা যদি ভালো রেজুলেশনের হয় এবং আপনি যদি ভালো ছবি ক্যাপচার করতে সক্ষম হন এবং আপনারও ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে বা ভিডিও তৈরি করে সেটি দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। এটি যদি আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই সহজ এবং সুন্দর একটি অর্থ উপার্জন করার মাধ্যম। ছবি ও ভিডিও বিক্রির জন্য অসংখ্য অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে যার দ্বারা আপনি সেখানে ছবি এবং ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন করতে পারেন এমন কিছু ওয়েবসাইট আমি নিচে লিখে দিলাম-
শাটারস্টক
ফ্রীপিক
• আইএম ফোপ
• স্নাপয়ার
ড্রিমস টাইম
এসব সাইটে স্ট্রোক ইমেজ ছাড়াও প্রায় সকল ধরনের ছবি ও ভিডিও কেনাবেচা হয় আপনি যে ধরনের ছবি তুলুন না কেন এসব সাইটে আপনি তা বিক্রি করতে পারেন ।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম :

অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংকে মনে করে একটি আলাদা পেশা । ফ্রিল্যান্সিং শুধু নির্দিষ্ট কোনো কাজ নয় বা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ নয় এটি হলো সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিজের দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন কে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। আর মোবাইল দিয়ে মানুষ বর্তমানে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে অনেক অর্থ উপার্জন করছে। আপনি যদি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ফিনান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার যে কোন একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকতে হবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারেন তাই মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায় এমন কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো হল যেমন-
• কনটেন্ট রাইটিং
• ট্রানসলেশন
• কপিরাইটিং
• ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
• ফোরাম পোস্টিং
• প্রুফ রিডিং
• প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন
• ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি

মোবাইল দিয়ে ফেসবুকএ ই-কমার্স দ্বারা টাকা ইনকাম :

বর্তমান সময়ে মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জন করা অনেক সহজ যদি আপনি একটু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে অবগত থাকেন । ফেসবুক ব্যবহার করে বর্তমানে অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স শুরু করা সম্ভব। ঘরে বসে দেশে বর্তমানে ফেসবুকে অসংখ্য জিনিস বিক্রি করছে । ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর হয়ে উঠতে পারে আপনার একজন নির্ভরযোগ্য কাস্টমার। ফেসবুকের মাধ্যমেই ই-কমার্স বিজনেস করতে হলে আপনার প্রথমে ইনভেস্ট করতে হবে কিছু প্রোডাক্ট কেনার জন্য এরপর উক্ত প্রোডাক্টে আপনার ফেসবুকে ই-কমার্স পেইজের ক্যাটালগে অ্যাড তৈরি করতে হবে তবেই যেসব জায়গা থেকে সেল আসা সম্ভব। বর্তমানে ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছুক হলে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবে না। অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে ফেসবুকে অনলাইন শপ এইগুলো থেকে পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে তাই সাপ্লাই রিমান্ডে কথা মাথায় রেখে মোবাইল দিয়েও আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ঘরে বসে অনলাইনে মোবাইল দিয়ে টিউশন করে টাকা ইনকাম :

বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার অতি সহজ হওয়ার কারণে অনলাইনে শেখার গুরুত্ব বেড়েই চলছে দিন দিন। আপনি যদি কোন বিষয়ের প্রতি দক্ষ হন সেক্ষেত্রে আপনি উক্ত বিষয়ের উপর মোবাইল দিয়ে অনলাইনে যে কোন কোর্স করিয়েও টাকা উপার্জন করতে পারেন। শুধুমাত্র টিউশন নয় আপনি পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স করিয়েও তা বিক্রি করে আয় করতে পারেন এছাড়াও আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয় নিয়ে কনসালটেন্ট হিসেবেও কাজ করে মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। যেমন, মনে করুন আপনি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার আর আপনি এই বিষয়ে অনেক দক্ষ সে ক্ষেত্রে আপনার কাছে একাধিক আয়ের পথ খোলা রয়েছে তাও আবার মোবাইল দিয়ে প্রথমত আপনি যদি ফ্রীল্যানসিং এর মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইন সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন । এরপর অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং লাইনে আপনি শিখিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়

মোবাইল দিয়ে মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে টাকা আয় :

অনেক সহজ কাজ যেমন ভিডিও দেখা, কমেন্ট করা ,অ্যাপ ইন্সটল করা, পোস্ট শেয়ার দেয়া, ইত্যাদি কাজের বিনিময়ে কিছু সাইট থেকে আপনি অর্থ আয় করতে পারেন। এসব সাইটকে মাইক্রোওয়ার্ক সাইট বলে । এসব সাইটের নানাবিধ সুবিধা রয়েছে যেখানে যে কোন ডিভাইস এমনকি মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে উপার্জন করতে পারেন কিছু জনপ্রিয় মাইক্রোওয়ার্ক সাইট হল :
মাইক্রোওয়ার্কারস
পিকোওয়ার্কার্স ইত্যাদি

মোবাইল দিয়ে ইনভেস্টমেন্ট বা ট্রেডিং সাইট থেকে টাকা আয় :

ব্যাংক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আর ব্যাংকে যে টাকা রাখার নিয়ম তা সকলেরই জানা। ব্যাংক সাধারণত সুদ প্রদান করে এটা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু ব্যাংক থেকে যদি প্রচুর পরিমাণ অর্থ লাভ করতে হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে বিশাল অঙ্কের অর্থ ইনভেস্ট করতে হবে এটি অনেকেই অপছন্দ করেন । ইনভেস্টমেন্ট সাইট গুলো বর্তমানে আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করার বিনিময়ে অনেক লাভ দিতে পারে। এরকম বহু ইনভেস্টমেন্ট সাইট রয়েছে আর অনেকেই ইনভেস্টমেন্ট সাইটের আড়ালেই থাকে প্রতারণার ফাঁদ। তাই যে কোন ইনভেস্টমেন্ট সাইটে যে কোন অর্থের লেনদেন করার আগে এটা নিশ্চিত করুন যে সাইটি প্রতারক নাকি আসলেই কাজ করে।

ডেলিভারি সার্ভিস দেওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহার করে টাকা আয় :

বর্তমানে অনলাইন শপিং এর কার্যক্রম বহু বৃদ্ধি পেয়েছে সাথে সাথে প্রয়োজনও বেড়েছে ডেলিভারী সার্ভিস প্রদান করার জন্য লোকবলের। প্রয়োজন বেড়েছে তাই আপনার কাছে যদি একটি সাইকেল ও বাইক এবং হাতের কাছে যদি একটি স্মার্টফোন থাকে সে ক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে। যেমন ফুডপান্ডা, দারাজ, সহজফুড ইত্যাদি আরও ডেলিভারি সার্ভিসে । আপনারা ফুলটাইম পার্ট টাইম এবং আপনার ইচ্ছামত উভয়ই যে কোনো কাজই করতে পারেন।

ড্রাইভিং এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে অর্থ উপার্জন :

সাম্প্রতিক সময়ে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো ব্যাপক উন্নতি নিয়ে এসেছে আপনারা যদি রাইড শেয়ারিং এর মত যদি কোনো যানবাহন থেকে থাকে তাহলে আপনারাও মোবাইল দিয়ে এখনই আয় করতে পারেন। বর্তমানে দেশে বহু বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের একটি সহজ ও সুন্দর মাধ্যম হলো এই ড্রাইভিং রাইট শেয়ারিং। যেমন উবার , পাঠাও এর মত রাইড শেয়ারিং বর্তমান সময়ে সার্ভিস গুলোতে কাজ করা যায় ফুলটাইম এবং পার্ট-টাইম আপনি যদি ইনকাম করতে আগ্রহী হন তাহলে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়েই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।

মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপস দিয়ে টাকা আয় :

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার বহু অ্যাপস রয়েছে কিন্তু এসব এক্সাইড অনেক গুলোতেই টাকা ইনকাম করা যায় না কারণ বহু প্রতারক এগুলোর দ্বারা ফাঁদ পেতে রাখে। আপনি যদি ভালোভাবে দেখে বুঝে অ্যাপস গুলো সিলেক্ট করতে পারেন তাহলে আপনি যে পরিমাণ অর্থ আয় করবেন তা আপনার হাত খরচের টাকা তোলা সম্ভব । মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু উল্লেখযোগ্য অ্যাপস এর নাম নিচে দেওয়া হল-

  • পকেট মানি – বর্তমানে এই অ্যাপসটিতে বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলে সার্ভিস কমপ্লিট করে এবং বিভিন্ন কন্টেন্ট অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন এছাড়াও এতে অন্যদের রেফার করলেও থাকছে সময় উপযোগী আর্থিক বোনাস। টাকা তুলতে পারবেন মোবাইল রিচার্জের মাধ্যমে।
  • পোল পে – এটি সাধারণত অনেক বিষয়ের উপর ব্যবহারকারীদের মতামত এর জন্য পে করে থাকে। এটি একটি আলপিন ও আনসার রিওয়ার্ড রিলেটেড অ্যাপ। এটি থেকে অর্জিত ক্রেডিট উইড্র করা যাবে গুগল প্লে, নেটফ্লিক্স, আমাজন, এক্সবক্স ইত্যাদি গিফট কার্ড হিসেবে আপনিও চাইলে গিফট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন বা বিক্রি করতে পারবেন।
  • গুগোল অপিনিয়ন রিওয়ার্ড – মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য এই অ্যাপটি অধিক জনপ্রিয় এই অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন সার্ভে কমপ্লিট এর জন্য গুগল প্লে ক্রেডিট দিয়ে থাকে।

মোবাইল দিয়ে ই-ব্যাংকিং সেবা দিয়ে অর্থাৎ বিকাশ থেকে উপার্জন :

মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বিকাশ থেকে টাকা আয় করা খুবই সহজ মূলত বিকাশ অ্যাপ রেফার লিংকটি শেয়ার করে আপনারাও এটি থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে বিকাশ অ্যাপ রেফার করে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যাবে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে মোবাইলে আয় করতে যা যা প্রয়োজন।

  1. অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশে প্রবেশ করুন এবং ডান দিকে মেনু ক্লিক করুন।
  2. রেফার বিকাশ অ্যাপ অপশন থেকে রেফার এ ক্লিক করুন।
  3. এই লিংকটি যে কোন মাধ্যমে শেয়ার করুন যেমন এস এম এস, ই-মেইল, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ইত্যাদির মাধ্যমে।
  4. এই রেফারেল লিংকটি ব্যবহার করে যিনি বিকাশ অ্যাপ দিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে
  5. ছবি তুলে অ্যাকাউন্ট খুলে লগইন করবেন তিনি পাবেন ২৫ টাকা ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক ।
  6. এছাড়াও যিনি বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রথমবার যে কোন পরিমাণ মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করবেন তাহলে পাবেন আরো এক্সট্রা ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক বোনাস। তাহলে সর্বমোট ৫০ টাকা বোনাস পাবেন গ্রাহক।

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হল কীভাবে আপনারা এটি সহজে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আমাদের এই বিষয়গুলো যদি আপনারা অনুসরণ করেন তাহলে আশা করি আপনারাও এটি দিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন:

ফ্রিল্যান্সিং কি? নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবে তার সম্পূর্ণ গাইডলাইন ( A TO Z )

দেখে নিন স্মার্টফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই জানা জরুরি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *