Projukti Kotha

বর্তমান সময়ে ইউটিউবে ভিডিও ভাইরাল করা পুরোটাই নির্ভর করে ইউটিউব এসইও ওপর। একটি ভিডিওতে অর্গানিক ভাবে ভিউ নিয়ে আসা সম্পূর্ণটাই ডিপেন্ড করবে আপনার এসইও কেমন হয়েছে তার উপর। আপনার ভিডিওটিকে যদি আপনি সঠিকভাবে অপটিমাইজেশন পড়তে পারেন তাহলে ইউটিউব নিজে থেকেই আপনার ভিডিওকে প্রমোট করবে আপনার ভিডিওতে ভিউ নিয়ে আসার জন্য। যখন আপনার ভিডিও বেশি ভিউ হবে তখন আপনি অটোমেটিক বা সরাসরি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব ইনকাম বেড়ে যাবে। আপনি যদি আপনার YouTube Vedio ভাইরাল করতে চান বা অর্গানিক পদ্ধতিতে ভিউয়ার্স আপনার চ্যানেলের নিয়ে আসতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই Youtube SEO সম্পর্কে জানতে হবে।

এখন আমি আলোচনা করব কি করে বা কিভাবে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর সার্চ ইঞ্জিন ও ভিউয়ারদের জন্য আপনার ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন করবেন।
আপনি যদি একজন নতুন ইউটিউবার হয়ে থাকেন এবং এসইও এক্সপার্ট হতে চান তাহলে আপনার কাছে অনুরোধ রইলো আমাদের এই সম্পূর্ণ লেখাটি ভালো করে পড়বেন এবং ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে দেওয়া হল মনোযোগ দিয়ে দেখুন।

  • এসইও (SEO) কি?
  • কিভাবে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন এলগোরিদম কাজ করে?
  • ইউটিউব ভিডিও রাঙ্ক(Video Rank) করার নিয়ম?
  • কিভাবে কীওয়ার্ডস সার্চ করবেন?

এসইও (SEO) কি?

আমরা সকলেই SEO নামটির সাথে পরিচিত কিন্তু আসলে এই এসইও (SEO) কি এবং SEO এর কি কাজ আমরা সেটি সম্পর্কে এখন বিস্তারিত জানব। এস ই ও (SEO) এর পূর্ণ নাম হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কীওয়ার্ড লিখে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেইজের রেঙ্ক করানোর জন্য ওয়েবসাইটটি অর্গানিক বা ফ্রি টার্গেট ভিউয়ার নিয়ে আসা। এটি ওয়েবসাইটকে অনেক বেশি টার্গেটের ভিজিটর এর কাছে পৌছানোর জন্য এই এসইও করার কোনো বিকল্প নেই।

ইউটিউব এসইও (YouTube SEO) কি?

মূলত ইউটিউব এসইও হচ্ছে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিতরে এবং বাহিরে যে কাজগুলো করার ফলে ইউটিউব ভিডিও ইউটিউব চ্যানেল কে সার্চ ইঞ্জিনের বা সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে নিয়ে আসা হয়। আর এই ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ভিডিওতে যে কাজগুলো করা হয় তাকেই বলে ইউটিউব এসইও। শুরুতেই আপনাকে ইউটিউব এসইও সম্পর্কে জানতে হবে আসলে কিভাবে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন কাজ করে| খুব সহজ করে অল্প কথায় আমি বিষয়টিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

YouTube বা ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার অনেক অনেক উপায় ও পদ্ধতি

ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে ?

ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন অ্যালগরিদম মূলত দুটি নিয়মে কাজ করে :

  1. ভিডিও টাইটেল ( ভিডিও টাইটেল ও ভিডিও কনটেন্ট কতটা সামঞ্জস্য ব্যবহারকারীর সার্চ কি-ওয়ার্ড এর সাথে )
  2. ব্যবহারকারীর এই সার্চ কোয়ারী ( আরেকটি হলো ব্যবহারকারী সার্চ কোয়েরি ভিডিও এর সর্বাধিক এনগেজমেন্ট )

ইউটিউব ভিডিও কীওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research) :

প্রথমত ইউটিউব ভিডিওর এসইও শুরু হয় কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে। আপনি যদি আপনার ইউটিউব ভিডিও এর কিওয়ার্ড রিসার্চ সঠিকভাবে না করেন তাহলে আপনার ইউটিউব ভিডিওটি রেঙ্ক করার সম্ভাবনা খুবই কম। আপনি যদি কোনো মতে আপনার একটি ভিডিও শুধু মাত্র আপলোড করে দেন তাহলে আমি বলব এটি সম্পূর্ণ একটি বোকামো। আর আপনি যদি মনে করেন আপনার ভিডিওটিকে ইউটিউবে সার্চ ইঞ্জিনে সবার শীর্ষে নিয়ে আসবেন তাহলে সেটিও আপনি করতে পারবেন যদি আপনি কিওয়ার্ড সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। শুরুতেই মাথায় রাখতে হবে কিওয়ার্ড মূলত আপনার ভিডিও এর টপিকের মতই হতে হবে তাছাড়া নয়। যেমন: আপনার ভিডিও এর টপিক কতজন মানুষ সার্চ ইঞ্জিনের খুঁজছে এবং কোন দেশের লোকজন এটি বেশি খুঁজছে বা তারা এই টপিকের বিকল্প অন্য কোন নামে কিওয়ার্ডগুলো কে ব্যবহার করছে কিনা, কারা এই টপিকের উপর সার্চ ইঞ্জিনের রেঙ্ক করে রয়েছে, আর যারাই রেঙ্ক করেছে তারা কি কি টপিক বা পন্থা অবলম্বন করেছে ,কম্পিউটারের কি কি দুর্বলতা রয়েছে, আরো অনেক কিছু আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে।

চলুন জেনে আসি আসলে কিওয়ার্ড জিনিস টা কি :

এটি হল এমন একটি শব্দ যা একটি ওয়েবসাইট বা Youtube Video কে বিশ্লেষণ বা বর্ণনা করতে সাহায্য করে। সহজ ভাবে বললে গুগোল এ বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে আমরা যা সার্চ করা হয় তাই হল কি ওয়ার্ড । যেমন: ধরুন আপনি হয়তো গুগলে বা ইউটিউব এ কোন কিছু লিখেছেন How to draw a bird এই যে আপনি লিখেছেন এটি হলো একটি কিওয়ার্ড । তবে কিওয়ার্ড গুলো আপনার ভিডিও এর ভিতরে ও বাইরে থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ । তবে কিওয়ার্ডগুলো ভিডিও এর ভেতরে ও বাইরে থাকার চাইতেও ভিডিও এর এঙ্গেজমেন্ট বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল বা রেঙ্ক এর ক্ষেত্রে।ভিডিও এঙ্গেজমেন্ট হচ্ছে একজন মানুষ দেখার জন্য ক্লিক করছে ।ভিউয়ার শতকরা কত পার্সেন্ট ভিডিওটি দেখছে এবং কতজন লোক এই ভিডিওটি লাইক শেয়ার কমেন্ট করছে তার হিসাব দেখে ।

এখন বলছি আপনি কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেনমূলত দুটি পদ্ধতিতে আপনি ইউটিউব এসইও বা কি ওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারেন :-
১. ইউটিউব ম্যানুয়ালি
২. এসইও টুল (ফ্রী ও পেইড)

১. ইউটিউব ম্যানুয়ালি :

ইউটিউব এর মাধ্যমে কি ওয়ার্ড রিসার্চ পদ্ধতি | শুরুতেই সরাসরি ইউটিউব সার্চ বক্সে সার্চ করার মাধ্যমেই আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ডের তথ্য পেতে পারেন। যেমন:

  • ইউটিউব এসইও
  • ইউটিউব এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল
  • ইউটিউব চ্যানেল এসইও ইত্যাদি

ঠিক এভাবেই আপনি আপনার কাঙ্খিত কিওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। ঐ ভিডিও গুলো তে কি কি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তাদের টাইটেল গুলো কি কি, ডেসক্রিপশন এ মেইন কি ওয়ার্ড কি, তাদের ভিডিও কত মিনিট লম্বা, কত কমেন্ট এবং লাইক আরো অনেক কিছু ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

২. এসইও টুলস এর মাধ্যমে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন :

যদি আপনি খুব অ্যাডভান্স লেভেলের কিওয়ার্ডগুলো রিসার্চ করে বের করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসইও টুলসের ব্যবহার করতে হবে। আর এসইও টুলস ছাড়া আপনি আপনার কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিয়ম দেখতে পারবেন না। সার্চ ভলিউম বলতে বোঝায় একটি কিওয়ার্ড সার্চ ইঞ্জিনে কতজন মানুষ প্রতিমাসে চার্জ করেছে বা খুজিছে তার হিসাব সেজন্য অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলের সাহায্য নিতে হবে। এসইওর টুলস এর জন্য ফ্রী ও পেইড ভার্সন রয়েছে। অনলাইনে বেশ কিছু ইউটিউব ভিডিও এর কিওয়ার্ড রিসার্চ করার টুলস রয়েছে তার মধ্যে থেকে কয়েকটি জনপ্রিয় টুলস এর নাম নিচে দেওয়া হল:

ইউটিউব এসইও (YouTube SEO) কি? কিভাবে এসইও করবেন ভাবছেন?

কিওয়ার্ড অনুসন্ধানকারী কে বোঝার চেষ্টা করুন : আপনি যে ভিডিওটি তৈরি করুন না কেন আপনাকে শুরুতেই ভাবতে হবে আপনার ভিডিওটি ব্যবহারকারীরা কেন বা কোন উদ্দেশ্যে সার্চ ইঞ্জিনের খুজবে। এসইও এর পরিভাষায় সার্চ ইনস্ট্যান্ট বলে সেই অনুযায়ী আপনাকে আপনার ভিডিও তৈরি করতে হবে।

হাই এনগেজমেন্ট ভিডিও তৈরি করুন : ইউটিউব চ্যানেল এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো তাদের প্লাটফর্মে ব্যবহারকারীদের বেশি সময় ধরে রাখা এবং এই কাজের জন্য ইউটিউব চ্যানেল তাদেরকে সাহায্য করবে এবং ফ্রিতে প্রমোট করবেন। শুরুতে বলা হয়েছে ভিডিও এংগেজমেন্ট হচ্ছে আপনার ভিডিওটি কতজন লোক দেখার জন্য ক্লিক পড়েছে এবং কতক্ষণ সময় ধরে দেখছে, কতজন লাইক, শেয়ার, কমেন্ট করেছে তার হিসাবের উপর নির্ভর করবে। আপনার ভিডিওটি তে যদি হাই এংগেজমেন্ট হয় তাহলে ইউটিউবে শীর্ষে নিয়ে আসতে পারবেন খুব সহজেই।।

ইন্টারনেট কি এবং ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য

বড় আকারের ভিডিও প্রকাশ করুন : আপনি যখন ভিডিওটি তৈরি করেন তখন খেয়াল রাখুন আপনার ভিডিওটির যারা কম্পিটিটর আছেন এর চাইতেও বেশিক্ষণ সময় আপনার ভিডিওতে ভিউয়ার ধরে রাখতে পারেন তা ভেবেই আপনার ইউটিউব ভিডিও সার্চ ইঞ্জিন রেঙ্ক করবে।

কেন ভিডিওটি ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন এ রেঙ্ক করবে : ভিডিওটিতে যদি লম্বা এবং দীর্ঘ করুন তাহলে অবশ্যই আপনার ইউটিউব ভিডিওতে লাইক করবে কারন আপনার ইউটিউব ভিডিওর ওয়াচ টাইম আপনার কম্পিউটারের ওয়াচ টাইম অনেক বেশি হবে। তখন দেখবেন আপনার ভিডিও এর ওয়াচ টাইম বেশি হওয়ায় গুগোল খুব সহজেই বুঝে নেবে যে আপনার ভিডিও গুলোতে অবশ্যই ভালো কিছু রয়েছে আর সেজন্যই আপনার ইউটিউব ভিডিওতে ভিউয়ার বেশি সময় দিচ্ছে।

চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করতে বলুন : ইউটিউব ভিডিও দেখার সময় ভভিউয়ার যখন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে তখন চ্যানেলের সার্চ ইঞ্জিনের কাছে একটি পজিটিভ সিগন্যাল পৌঁছে যায় যার ফলে ইউটিউব এসইওতে ভালো কাজে দেয়। এটি অত্যন্ত সহজ ব্যাপার ইউটিউবে একজন দর্শক এর যখন কোন ভিডিও ভালো লাগে তখন তারা ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে। আর তখনই সাথে সাথে ইউটিউব ভালো করে বুঝতে পারে যে কিসের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করা হয়েছে।
আপনি যদি আপনার দর্শকদের ভালো কিছু দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই প্রতি ১০ জনের মধ্যে ২ থেকে ৫ জন হলেও আপনার কথা শুনবে এবং আপনার ভিডিওতে সাবস্ক্রাইব করবে। আর যখনই দর্শকরা আপনার ইউটিউব ভিডিও দেখার সময় চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করবে তখনই এঙ্গেজমেন্ট এর কারণে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনে একটি বার্তা চলে যাবে যাতে করে ইউটিউব ভিডিওটি ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়। আপনার ইউটিউব ভিডিও সার্চ ইঞ্জিনের রাঙ্ক করার সম্ভাবনা তখনই বেড়ে যাবে।

লাইক ও শেয়ার করতে বলুন : একটি লাইক ও শেয়ার হতে পারে ইউটিউবে ভিডিও রাঙ্ক করার একটি অন্যতম কারণ। লাইক এবং শেয়ারের মাধ্যমে বোঝা যায় যে আপনার ইউটিউব ভিডিওটি ব্যবহারকারীর কাছে কতটা পছন্দের হয়েছে। ভিডিওতে আপনি আপনার দর্শকদের বলুন তারা যেন আপনার ইউটিউব ভিডিওটি কে লাইক এবং শেয়ার করে। বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল গুলির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন তারা তাদের দর্শকদের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও লাইভ শেয়ার দিতে বলছেন। আপনি যদি আপনার ভিডিওটির জন্য দর্শকদের কাছে লাইক ও শেয়ার চান তাহলে অবশ্যই আপনার ভিডিওর এঙ্গেজমেন্ট অনেক বেড়ে যাবে। ভিডিও যদি রেংক করাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে লাইক এবং শেয়ারের কথা জানাতে হবে।

ভিডিওতে কমেন্ট করতে বলুন : যখন ভিডিওতে কোন কমেন্ট আসে তখন ইউটিউব এর অ্যালগরিদম ভালো করে বুঝতে পারে যে এই ভিডিওটিতে অবশ্যই ভালো কিছু রয়েছে যার জন্য দর্শকরা উপভোগ করছে এবং তখনই ভালো এংগেজমেন্ট পায় এই ভিডিওটি | অনেক ব্লগ দেখেছি এবং অনেক ইউটিউব দেখেছি যেখানে ইউটিউব এর কমেন্ট এর জন্য ভিডিওটি সরাসরি অনেক রেংকিং করেছে। তাই আপনার ভিউয়ারদের কে অনুরোধ করুন আপনার ভিডিওটিতে যেন একটি কমেন্ট করেন।

আপনার ইউটিউব এর CTR অপটিমাইজেশন করুন : ইউটিউব CTR হচ্ছে ভিডিও সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্টের ভিডিও ইউটিউব কর্তৃক ভিউয়ারদের দেখানোর পর ক্লিক করার শতকরা হিসাব দেখায়। যদি আপনার ভিডিওতে ক্লিপ পড়ার হার খুবই কম থাকে তাহলে আপনার কম্পিটিটর এর তুলনায় কোনো ভাবেই ভিডিও আপনি ইউটিউবে সার্চ করে সার্চ ইঞ্জিনে সাজেস্ট ভিডিও নিয়ে আসতে পারবেন না।
CTR হচ্ছে ইউটিউবের ভিডিও লিঙ্ক করার জন্য একটি অন্যতম মাধ্যম আর সেজন্যই অবশ্যই আপনাকে আপনার ইউটিউব ভিডিও এর ক্লিকের হাড়ের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দুটি পদ্ধতিতে আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব ভিডিও অপটিমাইজেশন করতে পারেন :

  1. আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ডিজাইন ব্যবহার করে
  2. গুরুত্বপূর্ণ টাইটেল ব্যবহার করে

i. থাম্বনেইল : যদি আপনি একটি আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ব্যবহার করেন তাহলে দর্শক আপনার ভিডিওটি দেখার জন্য ইচ্ছা পোষণ করবে এবং একটি থাম্বনেইল ইউটিউব ভিডিও সম্পর্কে অনেক ধারণা দেয় তাই সব সময় একটি ভিডিওর থাম্বনেইল উপর গুরুত্ব অনেক বেশি। আপনি যদি ভাল থাম্বেইল তৈরি করতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনের কে হায়ার করতে পারেন আপনার ইউটিউব ভিডিও থাম্বেইল তৈরি করার জন্য। তাছাড়াও আপনি যদি চান খুব সহজেই ইউটিউব এর জন্য নিজেই তৈরি করতে পারবেন ক্যানভা নামক একটি সফটওয়্যার দ্বারা যেখানে খুব সহজেই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে প্রফেশনালভাবে ইউটিউব এর জন্য থাম্বনেইল তৈরি করতে পারবেন ।

ii. আকর্ষণীয় টাইটেল : একজন দর্শকের কাছে শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ হল একটি আকর্ষণীয় টাইটেল। কারণ দর্শক সবার আগে ইউটিউবে কোন জিনিস দেখার আগে ইউটিউবে ভিডিও তে ক্লিক করে তা হচ্ছে ভিডিও এর টাইটেল দেখে । আপনাকে বুঝতে হবে যে মানুষ কি কি বিষয়ে আপনার টপিকে সার্চ করতে পারে আর সেই টপিকগুলো কে ব্যবহার করে আপনাকে একটি সুন্দর টাইটেল তৈরি করতে হবে যা বুঝে ইউটিউব ভিডিও টাইটেল অপটিমাইজেশন করতে হবে। আপনি টাইটেল লেখার পূর্বে আপনার কনটেন্ট এর উপর বর্তমানে বা আগে তাদের ভিডিও গুলো সার্চ ইঞ্জিনের রেংক আছে সেগুলো কে ফলো করতে হবে। কারণ তারা কিভাবে তাদের টাইটেল লিখেছে সেগুলো আপনাকে জানতে হবে।

ইউটিউব এসইও

সঠিকভাবে ভিডিও অপটিমাইজেশন করুন :

মূলত ভিডিও অপটিমাইজেশন হচ্ছে আপনার ভিডিও সম্পর্কে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনকে একটি স্বচ্ছ এবং ক্লিয়ার ধারণা দেওয়া যাতে করে ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন বুঝে যেন ইউটিউব এর যত সম্পর্কিত ভিডিও আছে তার মধ্যে আপনার ভিডিওটি সবচেয়ে ভালো। ভিডিও টাইটেল ,ভিডিও ডেসক্রিপশন, ভিডিও ট্যাগ, ভিডিও প্রকাশের সঠিক সময়,ইউটিউব ভিডিও শেয়ার এই কাজগুলো করুন বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো :-

  • ভিডিও ফাইল রিনেইম করুন : আমরা যখন ভিডিও এডিট করি তখন সেভ দেওয়ার পর সাধারণত ভিডিও নিচে একটি সিরিয়াল নাম্বার বা হজবরল নাম্বার থাকে। আপনি যদি তাই সরাসরি আপলোড করেন তাহলে আপনার ইউটিউব ভিডিও এসইও ফ্রেন্ডলি আপলোড হবে না। আপনার ভিডিওটি আপলোড করার পূর্বে অবশ্যই রিনেম করে আপনার টপিক এর নাম অনুযায়ী লিখে যদি দেন তাহলে আপনার এসইও সমৃদ্ধ হবে এবং আশা করা যায় সকলের সার্চ ইঞ্জিনে দেখা যাবে।

 

  • ভিডিও টাইটেল : আবারো বলছি একটি ভিডিও রাঙ্ক করানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টাইটেল  হলো মহানায়ক। আপনার ভিডিওতে যদি একটি ভালো এবং সুন্দর টাইটেল থাকে তাহলে যে কেউই একবার হলেও সেটিতে ক্লিক করবে। তাই আমি নিশ্চিত বলতে পারি যদি আপনি সঠিক ভাবে আপনার ভিডিওগুলো কে অপটিমাইজেশন না করতে পারেন তাহলে আপনার ভিডিওতে আশানুরূপ ভিউ আর আসবে না। সর্বপ্রথম আপনাকে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ভিডিওর মূল বিষয়টি কি আর সেই বিষয়ের উপরে আপনাকে টাইটেল তৈরি করতে হবে অর্থাৎ আপনি যে কীওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করে আপনার ভিডিওটি তৈরি করেছেন সেটাই হবে আপনার ভিডিও টাইটেল।

 

  • ভিডিও ডেসক্রিপশন : একটি ভালো ডেসক্রিপশন একটি ভিডিও রাঙ্ক করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ । তাই ইউটিউব এর ভিডিও ডেসক্রিপশন ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝতে খুব সহায়তা করে তাই আপনার ইউটিউব ভিডিওটি কোন বিষয়ে তৈরি করা হচ্ছে তা খেয়াল করে আপনি সুন্দর ডেসক্রিপশন লিখবেন। সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টপিক বলছি ভালো করে লক্ষ করুন :-
    => প্রথম ২০ – ২৫ শব্দের ভেতরে আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ড গুলো রাখতে হবে।
    => কমপক্ষে ভিডিও এর জন্য ২০০ থেকে ২৫০ সবচেয়ে সুন্দর ডেসক্রিপশন লিখতে হবে।
    => আপনার ভিডিওর সম্পর্কিত কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
    => ২ থেকে ৩ টি হ্যাশট্যাগ এর কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

 

  • ট্যাগ এর ব্যবহার : ইউটিউব ভিডিওতে ট্যাগ আপনার ভিডিওটিকে রাঙ্ক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ট্যাগ অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে আপনাকে যে বিষয়গুলো সতর্কতার সাথে দেখতে হবে :-
    => আপনার ইউটিউব ভিডিও এর সাথে মিল আছে এমন কিছু ট্যাগ আপনার ইউটিউব ভিডিওতে আগে লিখুন।
    => একটু ঘুরিয়ে পেচিয়ে একই ট্যাগ কীওয়ার্ড হিসেবে আগে-পরে ব্যবহার করুন।
    => ট্যাগের ভিতরে আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড গুলোকে রাখুন তাহলে আপনার ইউটিউব এসইও খুব ভালো হবে।

 

  • ভিডিও প্রকাশের সঠিক সময় নির্ধারণ করুন : ইউটিউব ভিডিও রাঙ্ক করার ক্ষেত্রে ভিডিও আপলোড করার সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাকে ভালো করে বুঝে শুনে আপনার ভিডিওটি কে আপলোড করতে হবে কারণ আপনার ভিডিও দেখার অডিয়েন্স কখন, কোন সময় এই জিনিসগুলো কে ফলো করে সেই সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। যেমন ধরুন আপনি বিদেশীদের জন্য একটি কনটেন্ট তৈরি করছেন তাহলে আপনি যদি বাংলাদেশ সময় সেই কনটেন্ট আপলোড করুন তাহলে ওই সময় তারা বিশ্রামে বা অন্য কাজে ব্যস্ত তাহলে কেমন হবে বলুন তো ? এমনটি হলে অবশ্যই আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্স পাবেন না তাই আপনি আপনার ভিডিও কিসের জন্য তৈরি করছেন তারা দেখবে সেই বিষয়গুলো ভালভাবে নজর রেখে তারপর আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করুন যেন আপনি আপলোড করার সাথে সাথেই আপনার ভিডিওতে ভিউ আসে।

 

  • ইউটিউব ভিডিও শেয়ার করতে বলুন : ইউটিউব ভিডিও যদি শেয়ার করা হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনার ভিডিওর এংগেজমেন্ট অনেক বৃদ্ধি পায় এবং সাথে সাথে আপনার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ভিডিওটিকে শেয়ার করুন। আর তখনই ইউটিউব আপনার ভিডিওটিকে রাঙ্ককিংয়ে উপরের ধাপে নিয়ে আসবে এজন্য আপনাকে শুরুতেই আপনার ভিডিও পরিচিত বন্ধু-বান্ধবদেরকে বলুন আপনার ভিডিওটিকে শেয়ার করতে। তাছাড়া আপনি ফেসবুকের গ্রুপ তৈরি করুন এবং আপনি যদি ফেসবুক গ্রুপ এর মাধ্যমে ইউটিউবে ভিউয়ার নিয়ে আসতে চান তাহলে আপনি আপনার কনটেন্ট রিলেটেড ফেসবুকের আরো অন্যান্য গ্রুপের অনুসন্ধান করুন এবং সেখানে আপনার ভিডিওটিকে শেয়ার করুন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে বলছি যদি আপনাদের ইউটিউবের ভিডিওর কনটেন্ট খুব ভালো হয় তাহলে আপনাদের এসইওর দিকে তাকাতে হবে না কারন আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যারা অনেক ভাল ভিডিও তৈরি করেছে সেগুলোর এসইও খুব একটা ভালো নয় কিন্তু তারপরও এই ভিডিওটিতে ভিউ আসে বেশি তাই সব থেকে বেশি মনোযোগী হতে হবে ভিডিও কনটেন্ট যেন ভালো হয় এবং মানুষদের এখান থেকে যেন উপকারে আসে।

আর সর্বশেষ বলছি আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের কোন উপকারে আসে এবং ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের এই পোস্টটি বেশি বেশি করে শেয়ার করুন যাতে করে আপনাদের বন্ধুবান্ধব তারাও উপকৃত হন এবং আমরাও যেন আপনাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হই।

সবাইকে ধন্যবাদ।

কিভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করব বা আয় করার উপায় নিয়ে ভাবছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *